বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মায়ামীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে  মহান স্বাধীনতার স্থপতি এবং গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে ২৪ মে (বুধবার) বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মায়ামী জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে এক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এসময় কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।

কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ এ উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটের বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। আলোচনাসভায় দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান কনসাল জেনারেল ও ভাইস কনসাল।

কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে এ দেশে শান্তি ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান তুলে ধরেন এবং ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির মাধ্যমে শান্তিকামী বিশ্ববরেণ্য মানুষের তালিকায় বঙ্গবন্ধুর নাম সংযোজনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সকল ধরনের শোষণ, বঞ্চণা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।